ঘোষিত লকডাউনের মেয়াদ হলেও গণপরিবহন বন্ধ রাখার পরামর্শ
সর্বাত্মক লকডাউনে জরুরি সেবাখাত ছাড়া সরকারি বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। চলছে না গণপরিবহন। এই লকডাউন চলবে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত। তবে লকডাউন শেষে গণপরিবহন বন্ধ রাখার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগতত্ত্ব ও জনস্বাস্থ্যবিষয়ক কমিটির সভায় জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এ পরামর্শ দেন।
এছাড়া মহামারি ঠেকাতে লকডাউন শেষে গণপরিবহনের পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, রিসোর্ট, সমুদ্রসৈকত বন্ধ রাখা এবং গণজমায়েতের অনুমতি না দিতে সরকারকে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
সভায় লকডাউনের সময় বাড়ানোর বিষয়ে কোনো আলোচনা না হলেও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও মাস্ক পরার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। এ সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ছাড়াও রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর), আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি), পাবলিক অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা এই কমিটির সদস্য।
সারাদেশে গত ১৪ এপ্রিল শুরু হওয়া এ সর্বাত্মক লকডাউন শেষ হওয়ার কথা ছিল ২১ এপ্রিল। তার আগেই রোববার (১৮ এপ্রিল) রাতে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির ৩১তম সভায় ‘কঠোর লকডাউন’ আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়। এরপরই চলমার লকডাউনের মেয়াদ আগামী ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়।